রাজধানীতে বিক্ষোভকালে নিহত অন্তত ৬৪ জনের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটেছে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে।
পুলিশ বাদী হয়ে করা ৩৪টি মামলার তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মামলাগুলোর এজাহারের শেষাংশে বর্ণনা প্রায় একই রকম। তাতে বলা হয়, বিএনপি ও জামায়াত এবং তাদের অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে সন্ত্রাসী অথবা দুষ্কৃতকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে। নিহতের ঘটনা ঘটেছে কোটাবিরোধী আন্দোলনের আড়ালে থাকা সন্ত্রাসী বা দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে।
পুলিশের মামলার বাইরে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। মামলার নথিতে বাদী হিসেবে নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের নাম রয়েছে। এসব মামলায়ও ‘সন্ত্রাসীদের গুলিতে’ মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।
এর মধ্যে দুটি মামলার নথিতে উল্লেখ করা বাদীর নম্বরে ফোন করা হলে তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, মামলার বিষয়টি তাঁরা তেমন বোঝেন না। স্বজনদের মরদেহ নেওয়ার সময় তাঁদের বিভিন্ন কাগজে সই নেওয়া হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও সংঘাতে গত ১৬ জুলাই থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২১২ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। সরকার এ পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে।