ঘরে-বাইরে মশা থেকে সুরক্ষা পেতে ‘মসকিটো রিপেল্যান্ট’ বেশ কার্যকর। তবে সঠিক কার্যকারিতা পেতে হলে ঠিকঠাক ব্যবহারবিধি জানা থাকাটা জরুরি। সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকিও এড়ানো যায়। বিশেষত শিশুদের ব্যাপারে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা।
মশা দূরে রাখার কিছু উপকরণ আছে, যা ত্বকে প্রয়োগ করতে হয়। আবার কিছু আছে, পোশাকে লাগাতে হয়। এগুলোর কোনোটি কত সময় পর্যন্ত কার্যকর থাকে এবং কোনোটির প্রয়োগবিধি কী, সেই বিষয়ক নির্দেশনা পড়ে নিন। কিছু উপাদান তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের উপযোগী নয়। কেনার সময়ই এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত। ভালো মানের পণ্য বেছে নেওয়াটাও জরুরি। নির্দিষ্ট স্থানে প্রয়োগ করার পর হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলার কথাটিও ভোলা যাবে না।
যখন যেখানে প্রয়োজন
রাজধানীর ধানমন্ডির পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. সাইফ হোসেন খান জানালেন, বর্ষা এবং বর্ষা–পরবর্তী মৌসুমে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এ সময় এ ধরনের অনুষঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার কেউ যদি এমন কোনো এলাকায় যান, যেখানে মশাবাহিত অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বেশি, সে ক্ষেত্রেও দারুণ কাজে আসে এসব উপকরণ। যেমন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার ঝুঁকির কারণে ‘মসকিটো রিপেল্যান্ট’ সঙ্গে রাখা উচিত।