বেশ কয়েক দিনের বিক্ষোভ, সহিংসতা আর ধ্বংসযজ্ঞ। পরিস্থিতি সামলাতে ইন্টারনেট বন্ধ আর কারফিউ জারির পর প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অর্থনীতি পুরোপুরি স্থবির ছিল। কৃষি ছাড়া বাকি প্রায় সব উৎপাদন খাতের কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যায়। সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। আমদানি-রপ্তানি প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। কারফিউ শিথিল আর ইন্টারনেট ফিরিয়ে দেওয়ার পর এখন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে, তা বলার সময় এখনো আসেনি। শিল্প এলাকাগুলোতে কারখানা খুলেছে, শ্রমিকেরা কাজে ফিরেছেন। বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। উৎপাদন এলাকা থেকে কৃষিপণ্য ঢাকার মতো বড় বাজারগুলোতে পাঠানো যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও অর্থনীতি স্বাভাবিক গতিতে ফিরতে পারছে না। ফলে সর্বশেষ এই অস্থিরতা-সহিংসতা-সংঘাত ও তা দমনে নেওয়া সরকারি পদক্ষেপগুলো দীর্ঘ সময় ধরে সংকটে থাকা অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের আঘাত হিসেবে এসেছে।