সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনে বড় আকারের সংঘাতের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা, সংঘাতপূর্ণ অন্যান্য এলাকা শান্ত হতে থাকলেও অনেক বেশি সময় লেগেছে ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণে আসতে।
কারফিউয়ের মধ্যেও সব মিলিয়ে সংঘাত চলেছে পাঁচ দিন। যাত্রাবাড়ী থেকে প্রতিদিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছে মরদেহ, শেষ পর্যন্ত সংখ্যাটি কত দাঁড়াল, সেই হিসাব অবশ্য মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা একজন গণমাধ্যমকর্মী জানিয়েছেন, সংঘাতে বয়সে তরুণ অনেকেই ছিলেন, যারা ছিলেন বেপরোয়া। স্থানীয় এক প্রবীণ বলেছেন, গত কয়েক বছর গড়ে উঠেছে– এমন অনেক বাড়ির মালিকদের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তারা সংঘাতে জড়িতদের জন্য ‘দুয়ার খুলে রেখেছিলেন’।
আবার এমন ভাষ্যও পাওয়া গেছে যে, সংঘাতে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছিল স্থানীয় শ্রমজীবী, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।
একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার ঘটনাটি ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করেন অনেকেই। তাদের ভাষ্য, ‘সাধারণ’ কোনো বিক্ষোভকারীর এমন কাজ করার কথা নয়।
স্থানীয় একজন সংসদ সদস্য বলছেন, পুলিশের সঙ্গে যারা সংঘাতে জড়িয়েছেন, তাদের অনেককেই ‘প্রশিক্ষিত’ মনে হয়েছে। একজন বাড়ির মালিক বলেছেন, ‘উৎসবের মত করে’ একজোট হয়ে লড়াই হয়েছে। কেউ আহত বা নিহত হলেও ভয় না পেয়ে পাল্টা আক্রমণে গেছে বিক্ষোভকারীরা।