বছরের প্রথমার্ধের বেশ কিছুটা সময়জুড়ে শৈত্যপ্রবাহের পর তীব্র দাবদাহ ও বন্যায় ক্ষতির শিকার শিক্ষাকার্যক্রম যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, তখনই শুরু হল কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে অচলাবস্থা; একের পর এক অনাকাঙ্খিত এসব ছুটিতে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণ হবে কীভাবে, সেই উদ্বেগ সামনে আসতে শুরু করেছে।
দফায় দফায় শ্রেণি কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্নতা শিখন কার্যক্রমে অংশ নিতে নিচের শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনাগ্রহ-অনীহা বাড়িয়ে তুললে তা বার্ষিক মূল্যায়ন ও চূড়ান্ত পরীক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষক ও অভিভাবকদের।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে নজিরবিহীন সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে ১৬ জুলাই থেকে ধাপে ধাপে বন্ধ করা হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সংঘাত বাড়তে থাকলে জারি করা হয় কারফিউ। আস্তে আস্তে কারফিউ শিথিল হচ্ছে, সচল হচ্ছে অফিস-আদালত। জনসমাগাম বাড়ছে সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, সেটি এখনও নির্দিষ্ট হওয়া যাচ্ছে না।