‘আমরা আজ ২ হাজার ২০ মিটার ওপরের একটা গ্রামে যাব। পায়ে হেঁটে!’
কুমার থাপার কথা শুনে আমার মুখ শুকিয়ে গেল। আমি মোটামুটি অলস ও নন-অ্যাডভেঞ্চারাস প্রকৃতির পর্যটক। সমুদ্র দেখতে গিয়ে সাধারণত সমুদ্রে নামি না, ইজিচেয়ারে শুয়ে বই পড়ি আর সমুদ্রের এলোমেলো বাতাস উপভোগ করি। বেড়াতে গিয়ে রাফটিং, বাঞ্জি জাম্পিং বা প্যারাগ্লাইডিং জাতীয় কর্মকাণ্ডে আমার বিন্দুমাত্র উৎসাহ নেই। তেমনি পাহাড় দেখতে গিয়ে পাহাড়েই উঠতে হবে, এমনটাও কখনো ভাবিনি। মিন মিন করে বলতে চেষ্টা করলাম, ‘মানে হাঁটা ছাড়া আর কোনো পথ নাই?’
শুনলাম ‘কম হাঁটা’র একটি বিকল্প পথ আছে। কিন্তু সে পথে উঠলে আবার বিকেল পাঁচটার মধ্যেই ফিরতে হবে, তাহলে গ্রামে সময় কাটানোর মতো সময় পাওয়া যাবে অল্প। তাই আমার ছেলেমেয়েরা সেই বিকল্প পথের আইডিয়া বাদ দিয়েছে! তারা ‘বেশি ঘুরপথে’ই উঠতে চায়!