ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলন, এরপর ইন্টারনেট অচল, কারফিউ- সব মিলিয়ে পিছিয়ে গেছে এক হাজার টন হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি। নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি করতে না পারায় ক্রেতা হারানোর শঙ্কায় ভুগছেন খুলনার চিংড়ি রপ্তানিকারকরা। একই সঙ্গে সিপমেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায় ব্যাংক ঋণের বাড়তি সুদ, বাড়তি বিদ্যুৎ বিল এবং এক কাজের জন্য শ্রমিকদের মজুরি দ্বিতীয়বার গুনতে হবে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। এতে খুলনার ৩২ রপ্তানিকারক ১০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়বেন।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) নির্বাচিত পরিচালক এম হুমায়ূন কবীর বলেন, বর্তমানে চিংড়ি মাছের ভরা মৌসুম। বিশেষ করে বাগদা চিংড়ির এ সময়ে আমরা রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়েছি। আমাদের এই ব্যবসা এখন পুরোপুরি ইন্টারনেটভিত্তিক। নেট না থাকায় ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের এ সময়ের মধ্যে যদি আমাদের বায়াররা (বিদেশি ক্রেতা) তাদের চাহিদা পূরণ করতে অন্য দেশ থেকে মাছ কিনে নেন, তাহলে আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।