ভরা মৌসুমেও অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। সব ধরনের চালে সাম্প্রতিক সময়ে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। সরকারি হিসাবে মোটা চালের কেজি ৫২ টাকা হলেও খুচরা বাজারে ৬০ টাকার কমে মিলছে না চাল।
এমন বেসামাল অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের আড়াই হাজার চালকল মালিক (মিলার) ও করপোরেট চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে বিদ্যমান ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০১৩’-এর বিধান ও শাস্তির বিষয়ে আলোচনা হবে। অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হবে চাল ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কারফিউর কারণে বন্ধ থাকা ওএমএস (খোলাবাজারে বিক্রি) কর্মসূচি আগামী সোমবার (২৯ জুলাই) চালু করা হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
উল্লিখিত বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ দপ্তরে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চালের দাম বেড়েছে। কোটা আন্দোলন ও কারফিউর কারণে অটো রাইস মিলগুলো বন্ধ ছিল। তবে গত রাত থেকে সরবরাহ শুরু হয়েছে। এ মুহূর্তে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। এখনো আমাদের গুদামে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ২৩৪ টন খাদ্য মজুত আছে। এ ছাড়া কয়েক লাখ টন চাল-গম আমদানি প্রক্রিয়াধীন। সুতরাং শিগগির চালের বাজার স্থিতিশীল হবে।’