“আমি প্রতিবন্ধী মানুষ। স্বামী-সন্তান নাই। এক বড় কর্তা প্রতি মাসে আমারে টাকা দেয়। কিন্তু মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে, আমি নিতে পারি নাই। আজ যাচ্ছি সেখানে।”
ঘর ছেড়ে বাইরে বের হতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করছিলেন ষাটোর্ধ্ব বিবি হাজেরা। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নৈরাজ্যের মধ্যে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
মিরপুর থেকে মহাখালী ডিওএইচএস যাওয়ার পথে হাজেরা বললেন, “আমার ম্যালা কষ্ট হইছে। একবার (কর্তা) বলছিল, ‘বিকাশে পাঠিয়ে দেই’।
“কিন্তু আমার জন্য কোরবানির গোস্ত রেখে দিছে। গোস্ত তো আর বিকাশে পাঠান যায় না।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতা ও কারফিউয়ের মধ্যে তিন দিন সাধারণ ছুটির পর বুধবার খুলেছে অফিস-আদালত, দোকান-পাট। সেদিন ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকছে। এ সময়ের মধ্যে সরকারি অফিস চলছে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত।
ঢাকায় নজিরবিহীন নৈরাজ্যের মধ্যে সপ্তাহখানেক ঘরে আটকে থাকা অনেকেই প্রয়োজনীয় কাজ সারতে বাইরে বের হয়েছেন। তাতে করে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকেই গন্তব্যে ছুটছেন হেঁটে।