কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আরও ১১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মামলার বাদী পুলিশ। ২টি মামলার বাদী ছাত্রলীগের দুই নেতা। এসব মামলা ১২ থেকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে হয়েছে।
শাহবাগ থানায় করা মামলাগুলোর কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, একটি মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র আকতার হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আকতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক। তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৭ জুলাই গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেদিন দুপুরে ক্যাম্পাসে গায়েবানা জানাজা ও কফিনমিছিলের কর্মসূচি ছিল কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের।
এই কর্মসূচিকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের আগেই আকতারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি হয় ১৮ জুলাই। এ মামলায় নাম উল্লেখ করা একমাত্র আসামি তিনি। অন্য আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘অজ্ঞাতনামা বহুসংখ্যক কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের সমর্থনে আন্দোলনকারীরা।’
একই ধরনের কথা উল্লেখ রয়েছে আরও ৬টি মামলার এজাহারে (আসামিদের নাম ও ঠিকানার ছকের সংক্ষিপ্ত বিবরণে)। এই ৬টি মামলার মধ্যে ১৮ জুলাই হয়েছে ১টি, ২০ জুলাই ১টি, ১৯ জুলাই ২টি ও ২১ জুলাই হয়েছে ২টি। সব কটি মামলার বাদী পুলিশ। এসব মামলায় অজ্ঞাত আন্দোলনকারীদের আসামি করা হয়েছে।
এর আগে ১২ জুলাই শাহবাগ থানায় আরও একটি মামলা হয়। ওই মামলায় বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ১১ জুলাই পুলিশের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। সেদিন বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ছিল। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অজ্ঞাতনামা ছাত্ররা জড়ো হন। পরে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে অজ্ঞাতনামা ছাত্ররা শাহবাগ মোড়ে গিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের মারধর করা হয়।