চাকরি করলে দিনের অন্তত আট ঘণ্টা কাটে অফিসেই। কর্পোরেট জগৎ বা বেসরকারি চাকরিক্ষেত্র হলে সেই সময় আরও বেড়ে যায়। এতক্ষণ কাজ করার সময়ে কথা না বলে তো বসে থাকা যায় না। অনেকেই সহকর্মীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করে থাকেন। কিন্তু কতটুকু বললে আপনি নিরাপদ সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। না-হলে যেকোনো সময় ঝামেলায় পড়তে পারেন।
বিজ্ঞাপন
কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে মনের কথা উজাড় করে দিলে বিপদ হতে পারে। তাই কলিগদের সঙ্গে কী বলবেন আর কতটাই বলবেন তা জানাটাও জরুরি। চলুন জেনে নিই—
প্রেমের কথা
সহকর্মীদের সবার কাছেই কিন্তু প্রেমের কথা, কার সঙ্গে ডেটিং-এ যাচ্ছেন, রাতে কতক্ষণ কার কার সঙ্গে চ্যাট করছেন সবটাই উজাড় করে দেবেন না। দিনভর কাজের ফাঁকে গল্প করতে করতে অনেকের সঙ্গেই বন্ধুত্ব গাঢ় হয় ঠিকই, তবে সমস্ত ব্যক্তিগত কথা কি খোলা মনে বলে দেওয়া উচিত হবে কি না তা ভেবে দেখা দরকার। আর সহকর্মীদের সঙ্গে পরনিন্দা পরচর্চাতেও অংশ না নেওয়া ভালো। এটা মোটেও ভালো কাজ নয়। ভাবুন একবার, আপনার অনুপস্থিতিতে আপনাকে নিয়ে সমালোচনা, ঠাট্টা, তামাশা হচ্ছে, সেটা কি আপনার ভালো লাগবে?
স্বাস্থ্য সমস্যা
শরীর খারাপ সবার হয়। কারও ক্রনিক কিছু সমস্যা থাকে। অসুস্থতার কথা বসকে ও সহকর্মীদের জানাতে হবেই, সেটা প্রয়োজন। কিন্তু অসুখ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা অফিসে না হওয়াই ভালো। অসুখ মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়। কার কোন শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে কথোপকথন ঠিক নয়।