ঢাকার রাস্তাগুলো কেন নদী হয়ে যায়

প্রথম আলো মো. বশিরুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৪, ২০:৪৬

‘টানা বৃষ্টি হলেই মহানগরীগুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পথ-ঘাটগুলো কূলকিনারাহীন নদী হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িঘর, মার্কেট নির্মাণ করেন, তাঁরা কি রাজউকের নির্দেশ শতভাগ মানেন?’ জলাবদ্ধতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে এভাবেই লেখেন চন্দ্রশিলা। জলাবদ্ধ এলাকার ছবি জুড়ে দিয়ে তিনি আরও লেখেন, ‘দেশের মানুষেরা কি যত্রতত্র পলিথিন, পানির বোতল, ময়লা ফেলা বন্ধ করেছেন? দায় কিন্তু সব রাষ্ট্রের একার হয় না, প্রতিটি মানুষের দায়দায়িত্ব থাকতে হয়। কারণ, সমস্যা হলে ভোগ করতে হয় প্রতিটি মানুষকেই।’


হাসিব বাবু ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘জলাবদ্ধতা নিয়ে গত দুই দিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেকর্ড পরিমাণ স্ট্যাটাস দেখলাম! আচ্ছা, ঢাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা তাহলে ফেলে কারা?’ এই পোস্টে দুই ঘণ্টার মধ্যে নিচে মন্তব্য পড়েছে ৩৬টি এবং দুজন শেয়ার করেছেন। নাজমুস শাহাদাত নামের এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, ‘রাস্তার পাশে যতগুলো দোকান, সব দোকানের ময়লা ঝাড়ু দিয়ে রাস্তায় ফেলে, মনে হয় রাস্তাটা একটা ডাস্টবিন! আর অলিগলিতে তো মূর্খ ভাড়াটিয়ারা প্যাকেটভর্তি ময়লা-আবর্জনা ছুড়ে ফেলে, পরে সেগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কি যে অবস্থা হয়, বলে বোঝানো সম্ভব না।’


আসলে রাজধানী ঢাকায় জলাবদ্ধতা নতুন কোনো বিষয় নয়। মাত্র ঘণ্টাখানেকের ভারী বৃষ্টিতেই পরিণত হয় পানির নগরীতে।


আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৬০ মিলিমিটার। এরপরও অবশ্য হয়েছে, তবে তা ভারী বৃষ্টি ছিল না। কিন্তু সকালের বৃষ্টিতেই ধানমন্ডি, গ্রিন রোড, নিউমার্কেট, মতিঝিল, আরামবাগ, কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, দক্ষিণখান, কল্যাণপুর, বিজয় সরণি, মালিবাগ, মৌচাকসহ রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার সড়ক ডুবে যায়। অনেক বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। কোথাও পানি ছিল হাঁটুসমান, কোথাও প্রায় কোমরসমান। রাস্তায় গাড়িগুলোকে দেখা যায় রীতিমতো সাঁতরাতে।


আর এ জলাবদ্ধতার জন্য আমরা সরকার, মেয়র তথা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সবচেয়ে বেশি দায়ী করে থাকি।


ফেসবুক থেকে শুরু করে এ দুর্ভোগ নিয়ে মিডিয়া নানা আলোচনা-সমালোচনা করি, লেখালেখি করি।


এত এখন ফেসবুক কিংবা মিডিয়ায় আলোচনা হচ্ছে, গত চার বছরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে কমপক্ষে ৭৩০ কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু এর সুফল কতটা পাওয়া গেছে, তা শুক্রবার সকালের তিন ঘণ্টার বৃষ্টি দেখিয়ে দিয়েছে। গত ২৬ জুন ঢাকায় ৩ ঘণ্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। সেদিনের বৃষ্টিতে ঢাকার অনেক এলাকার সড়কে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।


আমি মনে করি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যতই দায়ী করি না কেন, এটা মানবসৃষ্ট বেশি। কারণ, আমাদের প্রতিদিন ব্যবহৃত ময়লা, প্লাস্টিক, পলিথিন ডাস্টবিনে না ফেলে ফেলছি রাস্তার। এ ময়লা, প্লাস্টিক, পলিথিন বৃষ্টির পানি সঙ্গে ড্রেনে পড়ে আবর্জনায় পূর্ণ হচ্ছে। গত কয়েক দিনে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, এর পানি যদি যথাযথভাবে ড্রেন দিয়ে না সরতে পারে, তাহলে তো রাস্তাগুলো নদী হবেই। আমি স্বীকার করি, ঢাকার মেয়রদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার দরকার ছিল।




সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us