কোটাব্যবস্থা রাখাটাই অযৌক্তিক। প্রতিবন্ধী, নারী বা সুনির্দিষ্ট কোনো এলাকাকে যদি অনগ্রসর মনে করা হয়, তাকে সমতায় আনার জন্য কিছু কোটা দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ ন্যূনতম কোটা—এটাই সংবিধানের স্পিরিট।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংবিধান অনুমোদন করে না। মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী প্রজন্ম, যাদের কোটা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এটা বংশপরম্পরায় সমাজে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং এই বৈষম্যের কারণে সমাজটা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীরা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তারা তো আইনশৃঙ্খলাবিরোধী কিছু করেনি। সরকার তাদের কথা শুনে তাদের যদি আস্থায় আনতে পারত, তাহলে তারা এমনিতেই চলে যেত। এরা তো আমাদেরই ছেলেমেয়ে। আলাপ-আলোচনা করে এর গ্রহণযোগ্য সমাধান হতে পারে। গায়ের জোরে সমাধান, সেটা পাকিস্তান আমলে হয়েছে, ব্রিটিশ আমলে হয়েছে।