বৈশ্বিক চালচিত্রে ৮৫ শতাংশ মানুষ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অধিবাসী। তাদের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জাতিগত বৈচিত্র্য ব্যাপক। সীমিত সম্পদের মধ্যে দিন গুজরান করা তাদের এক বড় বৈশিষ্ট্য। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের বেশির ভাগই দ্রুত নগরায়ণ, মহামারি-পরবর্তী আর্থসামাজিক পরিবর্তন, জলবায়ুর বিপন্নতা ইত্যাদির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। ফলে দারিদ্র্য, যুদ্ধ কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসনপ্রক্রিয়া তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রতিকূল মনোসামাজিক প্রভাব সৃষ্টি করছে।
এখনকার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে পশ্চিমা দুনিয়া ঔপনিবেশিক দৃষ্টিতে দেখে। তবে এখন সময় এসেছে পাশ্চাত্যের আর্মচেয়ার ইন্টেলেকচুয়ালরা প্রাচ্য সম্পর্কে যে গবেষণালব্ধ উপাত্ত পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করছে, সেগুলো পাশ্চাত্যের লেন্সে না দেখে প্রাচ্যের দৃষ্টিতে দেখার। তারপরও বলতে হবে, সীমাবদ্ধ সম্পদের মধ্যে বসবাস করলে মানুষের মনোদৈহিক ও মনোসামাজিক চাপ গড় আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে।