সর্বজনীন বলতে আমরা সাধারণত বুঝি সবার মঙ্গল বা সবার হিত বা কল্যাণ বা সবার মঙ্গলের জন্য কৃত বা সবার জন্য উদ্দিষ্ট। সর্বজনীন পেনশনও সবার মঙ্গলের জন্যই হবে এবং সরকারের উদ্দেশ্যও তাই। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় হয়তো সরকার সবাইকে পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হবে না। কিন্তু তারপরও এমন কিছু স্কিম রাখা উচিত ছিল, যেখানে আইএলও’র নীতি অনুযায়ী যারা চাঁদা দিতে অক্ষম, তাদেরও এ ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের পক্ষে চাঁদা প্রদান করে সর্বজনীন পেনশনে অংশগ্রহণ করা প্রায় অসম্ভব, সেজন্য এ বিশাল জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে যারা হতদরিদ্র, তাদের জন্য তেমন কোনো ঘোষণা নেই। তাই সর্বজনীন হয়ে উঠতে সরকারকে আরও উদারতা দেখাতে হবে। ১০ কোটি মানুষকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনার লক্ষ্য ধরে দেশে বহুল প্রত্যাশিত সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয়েছিল।
তবে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ধীরগতির কারণে সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর বাস্তবতা এখন শুধু দীর্ঘসূত্রতার দিকেই গড়াচ্ছে। এতে দেখা গেছে, মাত্র এক লাখ নিবন্ধন পেরোতেই ৯ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের। সর্বশেষ তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত দেশে ১ লাখ ১ হাজার ৩২১ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এক বছরের এ সংখ্যাটা খুব সামান্য, লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ০.১ শতাংশ। এতে মোট জমা হয়েছে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা।