দেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় দুর্নীতি। মানুষের মুখে মুখে সরকারের আমলা, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, সরকারদলীয় নেতা, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের কারও কারও বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ কান পাতলেই শোনা যায়। দুর্নীতির অভিযোগগুলো এত দিন সরকারবিরোধীদের অপপ্রচার বলে চালানো হলেও এখন বিষয়টি সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল অনেকের কাছেও অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। আগুনে ঘি ঢালার মতো কয়েকটি ঘটনার পর এখন এটা মুখরোচক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানসহ বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির নানা অভিযোগ নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে নিয়মিত খবর প্রকাশিত হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চার মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশে একদিকে যেমন দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন হয়েছে, তেমনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা বদ্ধমূল হচ্ছে। অবশ্য কয়েক বছর ধরেই এটা বলা হচ্ছে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিলেও দুর্নীতি না কমে বাড়ছে কেন?