১২ লাখ টাকার এক ছাগল নিয়ে দেশব্যাপী এখন তোলপাড় চলছে। বিশেষ এ ছাগলের যিনি ক্রেতা, তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেলেও তার পিতৃপরিচয় নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয়েছে। ছাগলের ক্রেতার নাম মুশফিকুর রহমান ইফাত। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সদস্য ড. মো মতিউর রহমানের সন্তান। কিন্তু গোলমাল বাদে মতিউর রহমান যখন ইফাতকে তার সন্তান হিসাবে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি ইফাতকে সন্তান হিসাবে শুধু অস্বীকারই করেননি, তাকে চেনেন না বলেও তিনি জানান। এরপরই মূলধারার কয়েকটি গণমাধ্যম অনুসন্ধান চালিয়ে ইফাতের প্রকৃত পরিচয় সবার সামনে তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এসব প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, ইফাত মতিউর রহমানেরই ঔরসজাত সন্তান।
ইফাত মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেন এবং মার সঙ্গে ধানমণ্ডির এক বাড়িতে থাকেন। এ ঘরে মতিউর রহমানের আরও দুজন সন্তান আছে। মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রীর ঘরে আরও একজন ছেলে ও মেয়ে সন্তান আছে। মতিউর রহমান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল্যাট ট্রাইব্যুনালের সদস্য হলেও শেয়ারবাজারের একজন ‘গ্যাম্বলার’ হিসাবে অধিক পরিচিত। তিনি তার পদ ও পদবি ব্যবহার করে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার এ সম্পদের বর্ণনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শেয়ারবাজারেও তার বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ আছে। শেয়ারবাজারে একাধিক ছোট কোম্পানি আনার মাধ্যমে বাজারসংশ্লিষ্টদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।