বিশাল আকারের দৃষ্টিনন্দন কুরবানির গরু শুধু আলোড়িতই করে না, অনেক সময় চরম বিপাকেও ফেলে। বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে থাকা অবিক্রীত এমন বড় গরু এখন খামারি বা কৃষকদের দুর্ভাবনার কারণ হয়েছে দাঁড়িয়েছে, তাদের কাঁদাচ্ছে। গত কয়েক বছরের মতো এবারও বড় গরু ঝামেলায় ফেলেছে ক্রেতার সঙ্গে-বিক্রেতাদেরও। সম্প্রতি ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে হাটে তোলা পশুর মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ অবিক্রীত রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার বড় গরু ঈদের হাটে বিক্রিই হয়নি। তবে সরকারের দাবি, দেশে প্রতিবছরই পশুর সংখ্যা বাড়ছে। উৎপাদিত পশু দিয়ে এবারও কুরবানির চাহিদা মিটেছে।
তবে সরকারের এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন মাংস ব্যবসায়ী, খামারি ও ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন নেতারা। তারা অভিযোগ করছেন, সীমান্তপথে ভারত ও মিয়ানমার থেকে পশু আসা এবং মিডিয়া ও সামাজিত মাধ্যমে পশুর অতিরঞ্জিত মূল্য প্রকাশের কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এছাড়া ‘ছাগলকাণ্ডে’ বেশি দামে পশু কেনার ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ‘দুর্নীতিবাজদের’ সংবাদ প্রকাশের আশঙ্কায় আগামী দিনে বড় গরু বিক্রি আরও কমে আসবে। অন্যদিকে দেশে বড় গরু পালন ও উৎপাদনে খামারিরা বেশ এগিয়ে গেছেন। এ পরিস্থিতিতে বড় গরু পালন এবং উৎপাদন নিয়ে তারাও শঙ্কায় থাকবেন।