বছর ১৫ আগের কথা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন কোরবানির ঈদের ছুটিতে যখন বাড়িতে ফিরতাম, তখন দেখতাম, বাসের সহযাত্রীদের মধ্যে বড় অংশই পেশায় কসাই। সিরাজগঞ্জের কোনো রেস্তোরাঁয় বাস যাত্রাবিরতি দিলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পেশার বিষয়টি জানতে পারি। তাঁরা বলতেন, ঈদের দিন ঢাকায় বেশ কয়েকটি গরু কেটে পরদিনই আবার বাড়ি ফিরে আসবেন। এতে রোজগারও ভালো।
বিষয়টি হলো, উৎসবকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে যে বিপুল কর্মযজ্ঞ হয়, কসাইদের এভাবে ঢাকায় আসা সে কারণেই। সেই কসাইরা এখন বিমানযোগেও রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসেন বলে জানা যায়। অর্থনীতিতে ধর্মীয় উৎসবের গুরুত্ব তাই কোনোভাবে কম নয়; বরং গ্রামীণ ও অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির বড় একটি ভিত্তি হচ্ছে উৎসব, বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসব। শুধু মুসলিম ধর্মীয় উৎসব নয়, সব ধর্মের ক্ষেত্রেই তা দেখা যায়। বিশেষ করে দেশে এখন যে হাতেগোনা কিছু প্রতিমা কারিগর আছেন, ধর্মীয় উৎসব না থাকলে তাঁদের আয়–রোজগার একপ্রকার বন্ধই হয়ে যেত। অর্থাৎ এই পেশাই হারিয়ে যেত।