আনুমানিক ১০ কোটি মুসল্লির দেশ নাইজেরিয়া। তাই প্রতিবছর দেশটিতে উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মুসলিম ধর্মীয় উৎসব এবং অনুষ্ঠানগুলো যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। কিন্তু এবার দেশটিতে উৎসবের চেয়ে সংকটই বড় হয়ে উঠেছে। ৭৮ বছর বয়সী মালান কাবিরু তুডুনের কথায় এটি স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘সেই ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছরই আমি একটি রাম ছাগল কোরবানি দিয়ে আসছি, এবারই শুধু পারলাম না।’
ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিবছরই সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহার পবিত্র দিনটিতে পশু কোরবানি দেয়। পরে ওই পশুর মাংস গরিব, দুস্থ, পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বণ্টন ও ভূরিভোজের মধ্য দিয়ে তাঁরা ঈদ উদ্যাপন করেন।
আল্লাহর নির্দেশে নিজের পুত্র ইসমাইলকে উৎসর্গ করার ঘটনাকে স্মরণ করেই ধর্মীয় এই আচার পালন করে মুসলিমেরা। এবারও মুসলিম বিশ্বের মানুষ পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদ উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে এবার পশু কোরবানি দিতে পারছে না নাইজেরিয়ার লাখ লাখ মানুষ।