'মেয়েরা কেন ফুটবল খেলবে'—এমন কথা তুলে গত বছর খুলনার তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির নারী খেলোয়াড়দের ওপর হামলা করেছিল কিছু দুষ্কৃতকারী।
ঘটনাটি নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়। দেশব্যাপী প্রবল প্রতিবাদের মুখে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। সরকারের বিশেষ আগ্রহে নারী খেলোয়াড়রা মাঠে ফিরে যান এবং সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে সার্বিক নিরাপত্তাসহ নানা প্রকারের প্রতিশ্রুতি পান। কেউ কেউ আর্থিক সহায়তা দেওয়াসহ তাদের যাবতীয় খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দেন। আবার কোনো কোনো সংস্থা নারীদের জন্য আলাদা মাঠের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
যে মাঠে তারা প্র্যাকটিস করতেন, সাময়িকভাবে ওই মাঠ বালু দিয়ে উঁচু করে ভালোভাবে খেলার উপযোগী করা হয়। সারাদেশ থেকে প্রায় প্রতিদিন নানা সংগঠন অভয় বাণী নিয়ে নারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করতে আসেন এবং তাদের সাহস যোগান।
কিন্তু কয়েক মাস যেতেই সব প্রতিশ্রুতি চলে যায় আড়ালে। সেই খেলোয়াড়রা এখন কে কোথায় আছেন, সেই খোঁজ কেউ রাখেনি। না সরকারি দপ্তর, না বেসরকারি সংগঠনগুলো কেউ নারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে বর্তমানে কোনো যোগাযোগ করছে। যে ক্লাবে তারা খেলতেন, সেই ক্লাবের প্রাক্টিস বন্ধ হয়ে গেছে। যে বাড়িতে থেকে তারা প্র্যাকটিস করতেন, সেখান থেকে তাদের বিতাড়িত করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।