কোরবানির গরু ও গোবেচারাদের কথা

বিডি নিউজ ২৪ চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৪, ২২:১৮

গরু নিরীহ হলেও আলোচিত একটি প্রাণী। ঈদুল আজহা, সর্বসাধারণ্যে যা কোরবানির ঈদ পরিচিত, এলে গরুর দাম ও কদর কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কেমন গরু কোরবানি করা হবে, সেই গরু কোত্থেকে সংগ্রহ করা হবে, তার দাম কী রকম হবে, সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, এককভাবে কোরবানি দেওয়া হবে, নাকি ভাগে দেওয়া হবে, কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে গরু কেনা হবে, না অনলাইনে কেনা হবে— এসব নিয়ে এখন বাংলার ঘরে ঘরে আলোচনা, গবেষণা। আসলে কোরবানির ঈদ এলে বোঝা যায় গরু কতটা উপকারী প্রাণী এবং এর গুরুত্ব কত।


কোরবানির ঈদে আমাদের দেশের কিছু কিছু গরু রীতিমতো ‘তারকা’র মর্যাদা পায়। তাদের নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। নিজের প্রিয় গরুগুলোকে খামারিরা আদর করে বিভিন্ন নাম দিয়ে থাকেন। বাহারি সব নামের বিশালাকার এসব গরু হাটে আসা ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে। অনেক ক্রেতাই কোরবানির জন্য এমন বাহারি নামের গরু কেনেন।


উল্লেখ্য, আমাদের দেশে হাটে বিক্রির জন্য আসা অসংখ্য গরুর মধ্যে কয়েকটি বিশেষ জাতের গরুর চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। শাহীওয়াল, হোলস্টাইন ফ্রিজিয়ান, ব্রাহমা আর মীরকাদিম জাতের গরু সব সময়েই চাহিদার শীর্ষে থাকে। এসব গরুর দামও তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। সেই সঙ্গে এসব গরুর রয়েছে বাহারি সব নাম। অবশ্য গরুকে একটি আলোচিত বা জনপ্রিয় নাম দিয়ে বাজারে তোলা সাম্প্রতিক প্রবণতা। গত কয়েক বছর ধরে চলছে এই হুজুগ।


একসময় গরুর নাম রাখা হতো শরীরের বর্ণ দেখে। রং সাদা হলে ‘ধলা’ বা ‘ধলু’, কালো হলে ‘কালু’, লাল হলে ‘লালু’ নাম রাখা হতো। কেউ গরুর মেজাজ অনুযায়ী রাম রাখতেন ‘রাজা’, ‘বাদশা’ বা ‘সম্রাট’। এবারও অনেক খামারিদের এইসব নামে নিজেদের পছন্দের পশুদের নাম রাখতে দেখে গেছে। কেউ রেখেছে ‘লালু মাস্তান’, ‘কালা মানিক’, কিংবা ‘রাজা বাবু’। আবার গরুর মেজাজ ও দেহের গড়ন অনুযায়ী ‘রাজা’, ‘বাদশা’, ‘জমিদার’, ‘বাহাদুর’ এমন অনেক নামই রেখেছেন ক্রেতাদের দৃষ্টি আর্কষণের জন্য। এমনকি বিশাল দেহের গঠনের কারণে দুই বিখ্যাত রেসলার ‘রক’, ‘আন্ডারটেকার’ নামেও গরুর নাম রাখতে দেখা গেছে।


গত দুই-তিন বছর ধরে দেশের চলচ্চিত্র জগতের আলোচিত-সমালোচিত তারকাদের নামেও গরুর নাম রাখতে শুরু করেছেন খামারিরা। বর্তমানে গরুর নাম রাখা হয় ‘হিরো আলম’, ‘জায়েদ খান’, ‘ডিপজল’, ‘মিশা’, ‘শাকিব খান’, জায়েদ খান’, ‘পরীমণি’ বা ‘তাহেরী’। মাদারীপুরের একটি খামারে কোরবানিতে বিক্রির জন্য একটি ষাঁড় গরুর নাম রাখা হয়েছে ‘প্রিন্স মামুন’। এটির ওজন আনুমানিক ২৫ মণ। দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। গরুটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করতেই টিকটকারের নামের সঙ্গে মিল রেখে এর নাম ‘প্রিন্স মামুন’ রাখা হয়েছে বলে জানান খামারি আইয়ুব আলী বেপারী।


এবারের কোরবানি ঈদে আলোচিত গরুর তালিকায় সবার উপরে আছে ‘বস’, ‘টাইগার’, ‘মেসি’, ‘টাইটানিক’সহ মোট ৬টি বিশাল আকারের গরু। মোহাম্মদপুরের সাদেক অ্যাগ্রোর বিশেষ খামারে হেলে দুলে আয়েশী ভঙ্গিতে বেড়ে উঠেছে বস। আকর্ষণীয় চেহারা ও শরীরের রাজকীয় গড়নের ফলে যে কাউকে নজরকাড়ে ব্রাহমা জাতের গরুটি। ১৪০০ কেজি ওজনের এই গরুটি বিক্রি হয়েছে ৩৭ লাখ টাকায়। একই জাতের টাইগার এবং রোজোকে সরাসরি আনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে। টাইগারের ওজন এক হাজার আর রোজো এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ১১০০ কেজিতে। স্বভাবে একেবারে শান্ত এই দুই গরু। এই গরু দুটি বিক্রি হয়েছে ৩৫ লাখ টাকায়। টাইগার ও রোজো। লম্বায় প্রায় ১২ ফুট আর উচ্চতায় ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি এটি হলিস্টিন ফিজিয়ান জাতের গরু। এই গরুর নাম দেওয়া হয়েছে টাইটানিক। কোরবানির জন্য টাইটানিককে বিক্রি করা হয়েছে সাড়ে ১৭ লাখ টাকায়। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সিনবাদ নামে একটি গরুর দাম হাঁকা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। কোরবানির হাটে ‘পরীমনি’ নামের মহিষও বিক্রি হয়েছে একটি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us