সম্পাদকীয়বাজেট পেশের পর এর ওপর সংবাদ সম্মেলনও হয়ে গেল, যার অভিজ্ঞতা অপ্রীতিকর। তবে বাজেট কতটা প্রীতিকর, সেটা নিয়েই আলোচনা চলবে বেশি। এরই মধ্যে আমরা স্পষ্ট জেনে যাব, শেষতক কত রাজস্ব আহরিত হলো চলতি অর্থবছরে। এডিপির বাস্তবায়ন কয়েক বছর ধরেই খারাপ থেকে আরও খারাপ। এবার এপ্রিল পর্যন্ত এর মাত্র ৫০ শতাংশের মতো বাস্তবায়ন হয়েছিল। জুন শেষে জানা যাবে শেষতক কত খরচ করা গেল। এসব ক্ষেত্রে তো ‘সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা’ও অর্জিত হচ্ছে না।
অহেতুক ‘খরচ’ বাড়ানোর অবশ্য মানে নেই। অর্থ তো কষ্টার্জিত। সরকার প্রত্যাশামতো কর-রাজস্ব আহরণ করতে পারছে না। কর-জিডিপি অনুপাত গেছে আরও কমে। এ অবস্থায় ঋণের ওপর নির্ভর করেই চলতে হচ্ছে। বিদেশি ঋণ কম মিললে নিতে হচ্ছে দেশের ভেতর থেকে। এই ঋণ গ্রহণের আরেকটি পক্ষ হলো বেসরকারি খাত। এতে তাদের সুযোগ যাচ্ছে কমে। দীর্ঘদিন তারা কম সুদে (সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ) ঋণ পেয়ে কী করেছেন, সেই প্রশ্নও আছে। সুদের হার অবশ্য দ্রুত বাড়ছে এখন। এ কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ার সুযোগ কম। আগে এটা না বাড়া সত্ত্বেও কেন বিনিয়োগ একটা জায়গায় আটকে ছিল, তার অনুসন্ধানও হয়নি। বিনিয়োগ না বাড়লে তো কর্মসংস্থান হবে না। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য শর্তও পূরণ হতে হবে। মূল্যস্ফীতি যখন উচ্চপর্যায়ে বহাল, তখন আবার কাজের সুযোগ না বাড়াটা বাড়িয়ে তুলেছে সংকট।