দিন দিন বাড়ছে ব্যাটারিচালিত যন্ত্রের ব্যবহার। ব্যাটারির অন্যতম উপাদান সিসা। একটি পরিত্যক্ত ব্যাটারির সিসা পরিবেশের সঙ্গে মিশে কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা নিয়েই গবেষণা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। কীভাবে শুরু হলো এই কার্যক্রম? কী উঠে এল তাঁদের গবেষণায়?
শুরুটা যেভাবে হলো
মাত্রই তখন পিএইচডি করে দেশে ফিরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপের সুযোগও পেয়ে গিয়েছিলেন। একাডেমিক ব্যস্ততা শেষে যখন নিজের বিভাগে থিতু হলেন, গবেষণার জন্য একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র খুঁজছিলেন। বাইরের দেশে ইলেক্ট্রো ফিজিওলজি, মলিকুলার বায়োলজি, নিউরো ফিজিওলজি নিয়ে কাজ হলেও আমাদের দেশে এসব নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। তবে হাত–পা গুটিয়ে বসে থাকেননি তিনি। বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে কীভাবে ভালো কিছু বের করে আনা যায়, সেই চেষ্টা করছিলেন। তখন বিভাগের ল্যাবে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করার কারণে মানবদেহে সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে নানা গবেষণা চলছিল। প্রাথমিকভাবে কিছু পানি পরীক্ষা করে দেখা গেল, পানিতে আর্সেনিকের পাশাপাশি স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে সিসা ও ম্যাঙ্গানিজের উপস্থিতি আছে। এ থেকেই গবেষণার ‘আইডিয়া’ পেয়ে যান জাহাঙ্গীর আলম। পানিতে সিসার উপস্থিতি কীভাবে বাড়ল, মানুষের মস্তিষ্কে এই সিসা কী ধরনের প্রভাব ফেলে, এসব নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ইঁদুরের ওপর শুরু হয় গবেষণা কার্যক্রম।