ছোট্ট শিশুদের কাছে পুতুল সর্বক্ষণে সঙ্গী। ছেলে হোক কিংবা মেয়ে সবাই ছোটবেলায় কমবেশি পুতুল খেলেছেন। নানান আকারের পুতুল ছিল শৈশবের পরম বন্ধু। তবে কিছু পুতুল ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে ভয়ংকর হিসেবে। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর পুতুল অ্যানাবেলার কথা নিশ্চয়ই জানেন।
তবে অ্যানাবেলার চেয়েও ভয়ংকর আরও বেশ কয়েকটি পুতুলের কথা জানা গেছে বিভিন্ন সময়। যেগুলো এখনো রাখা আছে বিভিন্ন মিউজিয়ামে। চলুন এমন ৩ ভয়ংকর পুতুলের কথা জেনে নেওয়া যাক-
রবার্ট
১৯০০ সালের ঘটনা। আমেরিকার ইটন স্ট্রিট এলাকায় থাকত ওটো পরিবার। ওটো পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য ছিল ইউজিন রবার্ট ওটো। ইউজিনকে ভালোবেসে সবাই জিন বলে ডাকতেন। তাদের বাড়ির এক চাকর ইউজিনকে নিজের হাতে তৈরি করা একটি পুতুল উপহার দেন। সেই পুতুলের আকার জিনকেও ছাড়িয়ে যায়। পুতুলটি জিনের এতোই পছন্দ হয়েছিল যে, সে নিজের নামেই পুতুলের নাম রেখেছিল। জিন সেই পুতুলের নাম দিয়েছিল রবার্ট। জিনের সর্ব ক্ষণের সঙ্গী ছিল সে। পুতুলটির চেহারা একনজরে দেখে অদ্ভুত লাগলেও তার প্রতি জিনের ভালোবাসা দেখে বাড়ির কেউ এই বিষয়ে কিছু বলেননি।
ম্যান্ডি
ম্যান্ডি নামের একটি চীনামাটির পুতুল পৃথিবীর সবচাইতে ভয়ংকর পুতুল গুলোর মধ্যে একটি। ধারণা করা হয়, ১৯১০ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে জার্মানি কিংবা ইংল্যান্ডে তৈরি করা হয়েছিল ম্যান্ডি নামের এই পুতুলটা। দীর্ঘদিন ধরে ম্যান্ডি সংরক্ষিত ছিল এক নারীর কাছে, যিনি দাবি করতেন, পুতুলটার কান্না শুনতে পেতেন তিনি। বাড়ির বেসমেন্টে থাকত পুতুলটা। সেখান থেকেই আসত কান্নার শব্দ। পরবর্তী সময়ে ম্যান্ডিকে ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কুইনেল মিউজিয়ামে দান করে দেন সেই নারী। কিন্তু মিউজিয়ামেও নানা রকম ঘটনা ঘটায় ম্যান্ডি। নিয়মিতভাবে হারাতে শুরু করে অনেকের খাবার, অন্যান্য জিনিসপত্র। কোত্থেকে যেন ভেসে আসে পায়ের শব্দ! মিউজিয়ামের কর্মচারীরা দাবি করেন, অন্য পুতুলদের খোঁজখবরও নিত ম্যান্ডি। মিউজিয়ামের বিভিন্ন পুতুলের কাচের ঘরে নক করতে অনেকেই দেখেছে ম্যান্ডিকে। অনেকে বলেন, পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চোখটা যেন জ্বলে ওঠে ম্যান্ডির।
পেগি
জেন হ্যারিস, একজন অতিপ্রাকৃতিক বিষয়ক তদন্তকারী, পেগি নামক এই ভৌতিক পুতুলটির ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন। সবচাইতে অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে এই পুতুলটি অন্যান্য অভিশপ্ত পুতুলের মত নয়। অন্যান্য পুতুলগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় যেই জায়গায় পুতুলটি আছে তার আশেপাশে ভৌতিক ঘটনা গুলো ঘটে থাকে। কিন্তু পেগির প্রভাব কারো ওপর পড়ার জন্য তার ছবি বা ভিডিওই যথেষ্ট। প্রথম পেগির ছবি ও ভিডিও বের হওয়ার পর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৮০ জন মাথাব্যথা, অস্থিরতা এবং হ্যালুসিনেশন এর কথা বলেছেন। এমনকি একজন নারী পুতুলের ভিডিও দেখে হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন বলে দাবি করা হয়।