কিছুদিন পরই মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব কুবরানি ঈদ। এ সময় মুসলিমরা পশু (গরু, ছাগল, দুম্বা) কুরবানির মাধ্যমে স্রষ্টাকে খুশি করার চেষ্টা করেন। ফলে এ সময় খাদ্য তালিকায় ‘রেড মিট’ বা লাল মাংস খাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। এ লাল মাংস স্বাস্থের জন্য কতটা ক্ষতিকর বা হৃদরোগীরা কী পরিমাণ খেতে পারবেন তা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তৌফিকুর রহমান ফারুক
‘রেড মিট’ বা লাল মাংস সাধারণত পশুর মাংসে বিশেষ করে গরুর মাংসে পাওয়া যায়। লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ, লাল মাংসে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে এটি গ্রহণে পেটের নাড়ির ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে। এ মাংস পাকস্থলী, অগ্নাশয়, খাদ্যনালি ও অন্ত্রের ক্যানসার সৃষ্টি করে। তবে লাল মাংস বা গরুর মাংস প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানে পূর্ণ। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন বা লোহা পাওয়া যায়, যা গর্ভবতী, বাড়ন্ত শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে। এ লোহা বা আয়রন সহজে অন্ত্রে শোষিত হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ আছে, যা রক্ত তৈরিতে ভূমিকা রাখে। এ মাংসে প্রচুর পরিমাণে উন্নতমানের প্রোটিন পাওয়া যায় যা দেহ গঠনে সাহায্য করে। গরুর মাংসে প্রচুর পরিমাণে জিংক নামক মিনারেল বা খনিজ পদার্থ থাকে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চর্বি ছাড়া গরুর মাংসে অর্থাৎ লিনকাট মাংসে যেহেতু চর্বির পরিমাণ অনেক কম থাকে ও প্রচুর প্রোটিন থাকে, তাই তিন আউন্স চর্বি ছাড়া মাংসে মাত্র ১৮০ ক্যালরি শক্তি থাকে এবং এতে ১০টিরও বেশি জরুরি খাদ্য উপাদান থাকে।