নাটকীয় ম্যাচে ২ উইকেটের জয় বাংলাদেশের
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে প্রথমবার হারাল বাংলাদেশ। এর আগে দুটি ম্যাচ হেরেছিল তারা।
১৯তম ওভারের প্রথম বলে শানাকা করলেন ফুলটস। মিস করেননি মাহমুদউল্লাহ! মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা। না, ২০১৬ সালের বেঙ্গালুরুর মতো কোনো উদ্যাপন মাহমুদউল্লাহ করেননি এরপর। কাজ বাকি, সেটি জানেন তিনি। পরের বলে লেগ সাইডে খেলে নিয়েছেন সিঙ্গেল। ৪ রান দরকার… ফিল্ডার এসেছেন সামনে। তানজিম স্লোয়ারে ব্যাট চালিয়েছিলেন, তবে নিচু হওয়া বল মিস করে গেছেন। পরের বলে লেগ সাইডে পেয়ে ঘুরিয়ে সিঙ্গেল। ৩ রান দরকার, স্ট্রাইকে মাহমুদউল্লাহ। অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল এরপর ছেড়ে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, হয়তো ওয়াইড ভেবেছিলেন। শট খেলতে পারতেন চাইলেই। মাহমুদউল্লাহ সে সুযোগটা নেননি। শেষ বলে শর্ট, মাহমুদউল্লাহ এবার ব্যাট চালিয়েছিলেন। শ্রীলঙ্কা আবেদন করেছে, এরপর নিয়েছে রিভিউ। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য চাচ্ছিলেন ওয়াইড। এবং রিভিউ ব্যর্থ হওয়ার পর দেওয়া হয়েছে ওয়াইড। শেষ বলে সামনে এসে খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। মিড অফ থেকে থ্রো সরাসরি লাগলে মাহমুদউল্লাহ রানআউট হতে পারতেন। আশা ছেড়েও দিয়েছিলেন। তবে ওভারথ্রো থেকে উল্টো আরেকটি রান নিয়ে ১৯তম ওভারের শেষ বলেই মাহমুদউল্লাহ নিশ্চিত করেছেন ২ উইকেটের জয়।
২৪ বলে দরকার ছিল ১৭ রান, বাকি ৫ উইকেট। এ ম্যাচের কোনোভাবেই এ পরিস্থিতিতে আসার কথা ছিল না। তবে হয়েছে সেটিই। শেষ পর্যন্ত সেটি এসে দাঁড়িয়েছিল স্নায়ুর লড়াইয়ে। মাহমুদউল্লাহ সে স্নায়ু ধরে রেখেছেন। ১৩ বলে ১৬ রানের অপরাজিত ইনিংসটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শেষ পর্যন্ত।
জয়ের মঞ্চটা তৈরি করে দিয়েছিলেন বোলাররাই। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং। বাংলাদেশের টপ অর্ডার এদিনও সুবিধা করতে পারেনি। তবে তিনে নামা লিটন চাপ সামাল দিয়েছেন শুরুতে। মাঝে হৃদয়কে নিয়ে গড়েছেন গুরুত্বপূর্ণ জুটি।