জিলহজ মাসের আমল ও কোরবানির ইতিহাস

প্রথম আলো শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৪, ১২:১৯

জিলহজ মাস মানে হজের মাস। এই মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখ—এই ছয় দিনেই হজের মূল কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত দিনে রোজা পালন করা, রাতে বেশি বেশি ইবাদত করা উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জিলহজের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর কাছে অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়, প্রতিদিনের রোজা এক বছরের রোজার মতো আর প্রতি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মতো। (তিরমিজি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)


জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবির বলা ওয়াজিব। পুরুষেরা স্বাভাবিক স্বরে আর নারীরা নিম্ন স্বরে তাকবির বলবেন, ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।’ (আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ মহান, আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ মহান।)


ইতিহাসে প্রথম কোরবানি করেন বাবা আদম (আ.)–এর পুত্রদ্বয় হাবিল ও কাবিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আদম (আ.)–এর পুত্রদ্বয়ের বৃত্তান্ত আপনি তাদের শোনান। যখন তারা উভয়ে কোরবানি করেছিল, তখন একজনের কোরবানি কবুল হলো আর অন্য জনেরটা কবুল হলো না। অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিনদের কোরবানি কবুল করেন।’ (সুরা-৫ মায়িদা, আয়াত: ২৭) 


কালক্রমে বিভিন্নরূপে এই কোরবানির প্রচলন চালু ছিল। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা, ‘(হজরত ইব্রাহিম আ. বললেন) হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একজন নেক সন্তান দান করুন। অতঃপর আমি তাকে এক সহিষ্ণু পুত্রের সুসংবাদ দিলাম, অতঃপর সে যখন তার পিতার সঙ্গে কাজ করার বয়সে উপনীত হলো, তখন ইব্রাহিম (আ.) বললেন, “হে বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে তোমাকে আমি জবাই করছি, তোমার অভিমত কী?” সে বলল, “হে আমার পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন, তা–ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।” যখন তারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহিম (আ.) তঁার পুত্রকে কাত করে শোয়ালেন, তখন আমি তঁাকে ডাক দিয়ে বললাম, “হে ইব্রাহিম! আপনি তো স্বপ্নাদেশ সত্যিই পালন করলেন!” এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চয় এটা ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তাকে মুক্ত করলাম এক মহান কোরবানির বিনিময়ে। আমি এটা পরবর্তীদের স্মরণে রেখে দিলাম। ইব্রাহিম (আ.)–এর জন্য অভিবাদন! আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি ও শুভেচ্ছা।’ (সুরা-৩৭ ছফফাত, আয়াত: ১০০-১১০) 


‘সব সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি, তিনি (আল্লাহ) তাদের জীবনোপকরণস্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা-২২ হজ, আয়াত: ৩৪)। ‘[হে নবী! (সা.)] আপনি আপনার রবের উদ্দেশে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি করুন।’ (সুরা-১০৮ কাউছার, আয়াত: ২)।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারেকাছে না আসে।’ (ইবনে মাজাহ) 


যার ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়, তিনি ইচ্ছা করলে নফল কোরবানি করতে পারবেন। ওয়াজিব কোরবানির পাশাপাশিও নফল কোরবানি দেওয়া যায়। একজনের কোরবানি আরেকজন প্রদান করলেও আদায় হবে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us