কথায় আছে, সাফল্য অনেক প্রশ্ন ঢেকে দেয়, ব্যর্থতায় যা প্রকট হয়। ১০ বছর ধরে একের পর এক সাফল্য বিজেপির অভ্যন্তরের অনেক কিছু বাইরে আসতে দেয়নি। সরাসরি প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়নি, নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর সিদ্ধান্ত ও কাজের ধরনকে। এবার দলের আসন এক ধাক্কায় ৩০৩ থেকে ২৪০–এ নেমে আসা, সরকার গড়তে গিয়ে শরিকদের গুরুত্ব দেওয়া এবং উত্তর প্রদেশে মুখ থুবড়ে পড়া—এসবে দলের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন ও কলহ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। শুরু হয়েছে একে অন্যের প্রতি দোষারোপের পালা। উঠেছে নাশকতার অভিযোগও।
এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদির ওপর ইতিমধ্যেই কোনো কোনো মহল চাপ সৃষ্টি করেছে, যাতে নতুন সরকারে অমিত শাহ আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব না পান। উত্তর প্রদেশের বিজেপির একটি বড় অংশ রাজ্যে ভরাডুবির জন্য অমিত শাহর দিকেই আঙুল তুলেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছের নেতারা আবার ওই বিষয়ে দোষারোপ করছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে।