দক্ষিণাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর। সেখানকার চাষি ফজলে মিয়া শেষ বয়সে এসে দিয়েছেন মুদি দোকান। লবণাক্ততার প্রভাবে এখন আর তার ফসলি জমিতে চাষাবাদ হয় না। জমিগুলো পরিত্যক্ত। সুন্দরবনঘেঁষা এ জনপদের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন, পরিবর্তন করছেন পেশা।
ফজলে মিয়া আক্ষেপ করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘একবার জমিতে লবণ পানি ঢুকলে কয়েক বছর চাষাবাদ করা যায় না। এ এলাকায় সামান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেই লবণ পানি প্রবেশ করে কৃষিজমিতে। তখন চিংড়ির ঘের ছাড়া বিকল্প কিছু করা যায় না। কিন্তু সে সামর্থ্য অধিকাংশ দরিদ্র চাষির নেই। তখন বাধ্য হয়ে কৃষিকাজ ছাড়তে হয়। এমনকি গরু-ছাগল পালন করাটাও কষ্টকর হয়ে পড়ে। কারণ জমিতে ঘাস, গাছপালাও হয় না।’
ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙনসহ পরিবেশগত বিভিন্ন বিপর্যয়ের কারণে দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। আবার ঠিক দেশের উল্টোপাশে উত্তরাঞ্চলে প্রাকৃতিক কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামছে। এ সংকট প্রকট বরেন্দ্র এলাকায়। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার বেশিরভাগ জায়গাজুড়ে খাবার পানি পাওয়া দুষ্কর। চাষাবাদের জন্যও পানি যাওয়া যাচ্ছে না। নদীগুলোতেও প্রয়োজনের সময় থাকে না পর্যাপ্ত পানি। ফলে অনেকে চাষাবাদ ছাড়ছেন।