সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পদ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় গত ১৮ এপ্রিল। এরপর সংস্থাটির অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিপুল সম্পদ। কিন্তু অনুসন্ধান চলার মধ্যেই গত ৪ মে সপরিবার দেশ ছেড়েছেন বেনজীর।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির হোতা শেখ আবদুল হাইয়েরও কোনো খোঁজ নেই। তিনিও সপরিবার দেশ ছেড়েছেন বলে দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতে ধরা পড়েছেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নামে-বেনামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার।
প্রশ্ন উঠেছে, দুদক, গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থাকে ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এই আলোচিত ব্যক্তিরা বিদেশে চলে গেলেন? নাকি তাঁদের বিদেশ চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবং এখন চলছে লোকদেখানো অনুসন্ধান ও আইনি ব্যবস্থা। পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, বেনজীর আগেও সরকারের ছাড় পেয়েছেন। এখনো পাচ্ছেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশ চলে যাওয়া বোঝাপড়ার অংশ হিসেবে ঘটছে কি না, সে প্রশ্ন ওঠা যৌক্তিক। সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার চোখ এড়িয়ে সপরিবার বিদেশ চলে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে আলোচিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয়।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, বেনজীরকে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তাঁকে যাঁরা সহায়তা করেছেন, সুরক্ষা দিয়েছেন, তাঁদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। সেই সামর্থ্য কি সরকারের আছে?