রংপুরের সাহেবগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে ‘ডিজিটাল ল্যাব’ চালু হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে। ল্যাবে ১১টি ল্যাপটপ এবং একটি করে প্রিন্টার, এলইডি টিভি, স্ক্যানার ও রাউটার থাকার কথা। গত ১২ মে রংপুর শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে দেখা গেল, ল্যাব নেই।
এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান বললেন, ল্যাব পাওয়ার কিছুদিন পর পুরোনো আধা পাকা ভবন ভেঙে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ শুরু হয়। তখন থেকে ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ। ল্যাপটপগুলো ‘সচল’ রাখতে তিনিসহ অন্য শিক্ষকেরা সেগুলো বাড়িতে রেখেছেন।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা, সক্ষমতা বাড়ানো ও স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। তবে সাহেবগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার ও গোলাম রব্বানি প্রথম আলোকে বলে, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ে তারা শুধু পাঠ্যবই পড়ে। ব্যবহারিক ক্লাসের সুযোগ নেই।
মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে পাঠদান তথা ডিজিটাল শিক্ষার লক্ষ্যে সারা দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্প চলমান।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের দুটি প্রকল্প এবং মাউশির একটি প্রকল্প নিয়ে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে এসব প্রকল্পের অধীন সরবরাহ করা ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার নষ্ট। মাঠপর্যায়ে এগুলোর তদারকি নেই। তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে শিক্ষকদের অদক্ষতাও এসব সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে পড়ে থাকার অন্যতম কারণ।