অ্যামেচার রেডিও একটি শখ। একটু কারিগরি বিষয় বটে, কত কম শক্তির ট্রান্সমিটার দিয়ে কত দূরে সংকেত বা সিগন্যাল পাঠানো যায়, মূলত সেটাই এই শখের প্রধান কার্যক্রম। সেটা হতে পারে পাড়ার দুই বন্ধুর মধ্যে তারহীন মাধ্যমে যোগাযোগ, দেশ থেকে দেশান্তরে কিংবা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা নভোচারীদের সঙ্গে অথবা এলিয়েনের সংকেত ধরে সেটা ডিকোড করার স্বপ্ন!
আমরা বেতার সংকেতের (রেডিও সিগন্যাল) বিভিন্ন কম্পাঙ্ক (ফ্রিকোয়েন্সি) ব্যবহার করে থাকি, সেটা অ্যামেচার স্যাটেলাইট কিংবা ইন্টারনেটের মাধ্যমেও হতে পারে। যদিও আমরা সারাক্ষণই বন্ধুত্ব কিংবা অদরকারি কথাবার্তা কিংবা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকি, কিন্তু দুর্যোগকালে আমাদের এই ব্যক্তিগত শখ সমাজের কাজে লাগে। যেহেতু অ্যামেচার রেডিওর হবিস্টরা প্রত্যেকেই এক বা একাধিক ট্রান্সমিটার-রিসিভার নিজেই বাসায় বসে রক্ষণাবেক্ষণ করেন, তাই দুর্যোগকালে সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগব্যবস্থা যখন ব্যাহত হয়, তখন আমরাই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ঝাঁপিয়ে পড়ি।