ঘুম আসতে দেরি হওয়া কিংবা মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। মনের সঙ্গে ঘুমের সম্পর্ক নিবিড়। মনের স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে ঘুমও হয় ঠিকঠাক। মানসিকভাবে আপনি যদি পুরোপুরি ঠিক না থাকেন, তবে বাধতে পারে ঘুমের গোলযোগ। হতাশার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। উল্টো দিকে, দীর্ঘদিন ঘুমের সমস্যায় ভোগার কারণেও কিন্তু আপনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারেন। অর্থাৎ একই সঙ্গে অনিদ্রা ও হতাশায় ভুগতে পারেন আপনি।
এ দুইয়ের মধ্যে কোনটির সূত্রপাত আগে হয়েছে, তা অবশ্য অনেক সময় বোঝা যায় না। তবে সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে এই দুই ধরনের সমস্যাকে সামলেই এগোতে হবে। একটির সমাধান হতে থাকলে অন্য সমস্যাটি থেকে বেরিয়ে আসাও সহজ হয়ে উঠতে পারে। যদিও আমাদের জীবনধারাটাই এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে হতাশা মোকাবিলা করাটা খুব মুশকিল। শৈশব থেকেই একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা অসম তুলনার ভেতর দিয়ে যাই আমরা। পড়ালেখায় ভালো হতে হবে, পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেতে হবে কিংবা প্রতিযোগিতায় প্রথম হতে হবে—এমন নানান চাপ শৈশবের নির্মল আনন্দময় সময়টাকে পিষে ফেলতে থাকে। এই ‘দৌড়ে’ সবাই তো আর প্রথম হতে পারে না। প্রথম হতে হবেই–বা কেন? তবে না পারার হতাশা এই সময়টা থেকে অনেকেরই সঙ্গী হয়ে যায়।