কোথাও কোনো খবরে নেই। কারও কারও মনেও নেই তিনি। বিনোদন অঙ্গনের কাছের দু-একজন ছাড়া অন্যদের সঙ্গেও দেখাসাক্ষাৎ নেই। কাজকর্মে সেভাবে উপস্থিতি না থাকায় নিজেকে গুটিয়েও নিয়েছিলেন। হাসিমুখের চেনা মুখ তাজিন বেছে নিয়েছিলেন একাকিত্বের জীবন।
ঠিক ছয় বছর আগের আজকের দিনে বিকেলে হঠাৎ তাঁর আবার খবর নেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল! কেউ বাসার উদ্দেশে ছুটছেন, কেউবা হাসপাতালে। সবার একটাই উদ্দেশ্য তাজিন আহমেদকে দেখা। ততক্ষণে অবশ্য তিনি এই পৃথিবীতে নিশ্বাস নেওয়ার সব শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। চিরদিনের জন্য পাড়ি জমিয়েছেন অনন্তের পথে। সেদিন বিকেলে তাজিনের মৃত্যুর খবরে টনক নড়ে দীর্ঘদিন ধরে খোঁজ না-নেওয়া সহকর্মীদের। অপরাধবোধে ভোগেন তাঁরা। একসময় যাঁকে ঘিরে মুখর থাকত বন্ধু-সহকর্মীরা, অভিনয় ও উপস্থাপনায় যিনি আলো ছড়িয়েছেন, সেই তাজিনের এমন অসহায় মৃত্যু নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। যার জবাব খুঁজতে গিয়ে ভুল তথ্যের গুজবে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তিও।