বিদ্যুতের দাম বাড়বে ১২ বার, ক্যাপাসিটি চার্জের বেলায় কী হবে

প্রথম আলো মনোজ দে প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৪, ২২:১৯

আন্দোলন ও রক্তপাতের পর গত বছরের নভেম্বরে পোশাকশ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা, আর সর্বোচ্চ মজুরি সাড়ে ১৪ হাজার টাকা। অবশ্য শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি ছিল বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী ভালোভাবে খেয়েপরে বেঁচে থাকতে হলে ন্যূনতম মজুরি হতে হবে ২৫ হাজার টাকা।


কথা হচ্ছিল গাজীপুর কোনাবাড়ীর পোশাকশ্রমিক মনোয়ার বিশ্বাসের সঙ্গে। প্রায় এক দশক ধরে কাজ করছেন পোশাকশ্রমিক হিসেবে। বর্তমানে ওভারটাইম মিলিয়ে তাঁর মাসিক আয় কমবেশি ১৯ হাজার টাকা। রান্নার সিলিন্ডার গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল মিলিয়ে জ্বালানির পেছনে এখন তাঁর মাসিক ব্যয় ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। মানে তার মোট আয়ের সাত ভাগের এক ভাগ ব্যয় হচ্ছে জ্বালানির পেছনে।


৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে শর্তগুলো বাংলাদেশ কতটা কার্যকর করেছে, তা দেখতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে গেল। আইএমএফের প্রতিনিধিদলের কাছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ যা জানিয়ে এসেছেন, তার সরল অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, এ বছরে বিদ্যুতের দাম চারবার বাড়ানো হবে। তিন বছরে বাড়বে ১২ বার।


গত দেড় দশকে পাইকারি পর্যায়ে ১২ বার আর খুচরা পর্যায়ে ১৪ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের প্রথম তিন মাসে তিন দফা বেড়েছিল। বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি গড়ে বিদ্যুতের দাম ৭ টাকা ৪ পয়সা। ভোক্তা পর্যায়ে ৮ টাকা ৯৫ পয়সা। তিন বছর পর তা বেড়ে হবে দ্বিগুণ। এখনই যেখানে শ্রমজীবী পরিবারগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির পেছনে তাদের আয়ের ছয় বা সাত ভাগের এক ভাগ ব্যয় করতে হচ্ছে; তিন বছর পরে তাদের এই ব্যয়ের ভাগটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?


বাংলাদেশের অর্থনীতি, জ্বালানি নীতি, রাজস্ব নীতি—সবকিছু এখন যেন আইএমএফের ‘ব্যবস্থাপত্রে’ চলছে। আইএমএফ বলছে, ভর্তুকি কমাও। বিদ্যুৎ, সার, সেচে কৃষক, শ্রমজীবী কিংবা সাধারণ মানুষ যে ভর্তুকি–সুবিধা পেয়ে আসছেন; সবার আগে তা কাটা পড়ছে। আইএমএফ বলছে রাজস্ব বাড়াও। আমাদের কর্তাব্যক্তিরা মেট্রোরেলের টিকিট থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য নিত্যপণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বসানোর তালিকা নিয়ে হাজির হচ্ছেন। যেন এ দেশের সাধারণ মানুষের পকেট একেকটা আলাদিনের চেরাগ। সেখানে ঘষা দিলেই দৈত্য এসে হাজির হবে আর এনবিআর, বিদ্যুৎ বিভাগ যার যার চাহিদা অনুযায়ী রাজকোষে রাজস্ব জমা করে দেবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us