রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজের কোনো সভায় অংশগ্রহণ করলে গভর্নিং বডির সভাপতি সম্মানী হিসেবে পান ২২ হাজার টাকা। সদস্যরা পান ১৮ হাজার টাকা। একইভাবে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো নামীদামি প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যরাও সম্মানী বাবদ পান ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। ‘ইচ্ছেমতো’ সম্মানী নেওয়ার এ চিত্র রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সম্মানী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মকানুন মানা হয় না। সম্মানী নির্ধারণ এবং নেওয়া না নেওয়ার বিষয়ে গভর্নিং বডির সদস্যদের ইচ্ছাই মুখ্য। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করেও অতিরিক্ত সম্মানী নেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা। এতে বছর শেষে তাঁদের সম্মানী বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ চলে যায় প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে।
সংশ্লিষ্ট কলেজ সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে সম্মানী বাবদ খরচ হয়েছে সাড়ে ১৫ লাখ টাকা, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৯ লাখ টাকার বেশি, শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্টগ্র্যাজুয়েট কলেজ ৪০ লাখ টাকার বেশি, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ প্রায় ১০ লাখ টাকা।