ডলার–সংকট ও মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাতে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কমে গেছে। ফলে কয়েক মাস ধরে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আয়ে ধস নেমেছে। তাতে বিপাকে পড়েছেন বন্দর–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, আমদানি-রপ্তানিকারকেরা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, স্থানীয় দুটি ব্যাংক চাহিদা অনুযায়ী ফরেন ডিমান্ড ড্রাফট (এফডিডি) ইস্যু করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। এ ছাড়া মিয়ানমারে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখান থেকে পণ্যভর্তি কার্গো ট্রলার ও জাহাজ আসতে পারছে না।
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় রাজস্ব আদায় আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে বলে স্বীকার করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরে কাস্টমস শুল্ক কর্মকর্তা বি এম আবদুল্লাহ আল মাসুম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, চাহিদা অনুযায়ী এফডিডি না পাওয়ায় মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি করতে পারছেন না আমদানিকারকেরা। আবার মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সে দেশের বিদ্রোহীদের সংঘাতের কারণে পণ্যবোঝাই কার্গো ট্রলার ও জাহাজও আসতে পারছে না। এ জন্য রাজস্ব আদায়ের ওপর প্রভাব পড়েছে।