পশ্চিমবঙ্গে আদর্শ রক্ষা ও ভোটের দোলাচলে মতুয়ারা

প্রথম আলো আলতাফ পারভেজ প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৪, ১১:৪৬

ভারতে ভোট শেষ হতে আরও কিছুদিন বাকি। পশ্চিমবঙ্গের বেলায়ও একই হিসাব। তবে কে কাকে ভোট দিচ্ছেন, কোন গোষ্ঠী কোন দিকে হেলে পড়ছে, তার মেঠো ময়নাতদন্ত চলছে এখন। এর মধ্যে বিশেষ মনোযোগে আছে পশ্চিমবঙ্গের ‘মতুয়ারা’। ভোটের রাজনীতির কবলে পড়ে ধর্মীয় এই ঘরানার কেন্দ্রে সৃষ্ট কোন্দল ও ভাঙন নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বিস্তর। এর মধ্যে এ প্রশ্নও উঠেছে যে ভোট ও রাজনীতির দোলাচলে মতুয়াদের জাতপাতবিরোধী মূল আদর্শে কোনো টান পড়ল কি না?


‘মতুয়াদের’ আদি কথা


দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে পশ্চিমবঙ্গের মতুয়াদের নিয়ে প্রায়ই আলোচনা ওঠে। দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিগত ভোটের সময় বৃহত্তর ফরিদপুরে এসে ওই আলোচনাকে আন্তর্জাতিক চেহারা দিয়েছিলেন। ঢাকায় তখন সহিংস বিক্ষোভও হয়, যার জেরে কয়েকটি সংঘর্ষে বেশ কিছু নিহতের ঘটনাও ঘটে। পাশাপাশি বিশ্ব জেনেছিল যে মতুয়া দর্শনের অনেক মানুষ আছেন বাংলাদেশেও।


কাশিয়ানীর ওড়াকান্দি এই সম্প্রদায়ের আদি ভূমি। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার বড় রাজনীতিবিদদের যে কারও আগে মোদি-বিজেপি-আরএসএসের কাছে ওড়াকান্দি যে বাড়তি মনোযোগ ও সম্মান পেল, সেই কৃতিত্ব গেরুয়া শিবিরের গবেষকদের দিতেই হয়।


২০২১ সালের মার্চে কাশিয়ানীতে বিজেপি নেতার সফর মতুয়াকেন্দ্রিক ক্ষমতার রাজনীতির গণিতকে এতটাই প্রচার দিয়েছে যে নতুন প্রজন্মের কাছে এখন মতুয়াবাদের পেছনের ইতিহাস বেশ আড়ালেই পড়ে গেছে।


আজ যাঁরা ‘মতুয়া’, ১৯৪৭ সালের আগে তাঁদের বড় অংশ ‘নমশূদ্র’ নামেই পরিচিত ছিলেন। তারও আগে তাঁদের পরিচয় ছিল শুধুই ‘নমো’।


নমোদের মতুয়া চেতনায় জড়ো হওয়ার শুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের মাধ্যমে, যদিও সব নমো মতুয়া হয়ে যাননি আজও। ‘হরি’ নামে ‘মত্তরাই’ কেবল মতুয়া অভিধা পেলেন। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের এখনকার প্রায় ৫০ ভাগ হবেন এ রকম মানুষ। তাঁদেরই আদি গুরু হরিচাঁদ চেয়েছিলেন, ‘হরি’ নামকে কণ্ঠে নিয়ে বাংলায় বল্লাল সেনদের তৈরি করে যাওয়া ‘৩৬ জাতকে’ জোড়া লাগাতে। সেই সূত্রেই জন্ম ‘হরিবোলা’ সম্প্রদায়ের।


হরিচাঁদ ঠাকুরের ছেলে গুরুচাঁদ এবং গুরুচাঁদের নাতি প্রমথরঞ্জন ঠাকুর (পি আর ঠাকুর নামে অধিক পরিচিত) এই আন্দোলনে শিক্ষা ও রাজনীতির যোগ ঘটান। ইতিমধ্যে ‘হরিবোলারা’ ‘মত্ত’ বা ‘মাতোয়ারা’থেকে মতুয়া হয়েছেন এবং তাঁদের ধর্মপুস্তকে আদি পরিচয়ে ‘মৈথিলী ব্রাহ্মণ’ কথাটাও যুক্ত হয়। এই প্রক্রিয়ায় হরিবোলাদের ৩৬ জাতকে এক করার অঙ্গীকার কমে গিয়ে ‘মতুয়া’ হিসেবে নিজেই একটা জাত হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা দেখা দেয়।


ইতিমধ্যে ১৯৪৭ ও বিশেষভাবে ১৯৫০-এর দাঙ্গা এই সমাজকে লন্ডভন্ড করেছে। ওড়াকান্দি ছাড়িয়ে বনগাঁর ‘ঠাকুরনগর’ মতুয়াদের দ্বিতীয় পবিত্র ভূমি হয়ে উঠেছে।


পি আর ঠাকুরের মৃত্যুর পর ১৯৯০ সাল থেকে ঠাকুরনগরে বসেই এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তাঁর স্ত্রী বীণাপানি দেবী তথা ‘বড় মা’। ২০১৯ সালে বীণাপানি দেবীর মৃত্যুর পর মতুয়া আন্দোলন তার ভরকেন্দ্রে আর কোনো একক নেতৃত্ব ধরে রাখতে পারেনি। বহুমুখী সাংগঠনিক প্রবণতা তৈরি হলো এই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক পছন্দ–অপছন্দে। বিশেষ করে এককালের জাতপাতবিরোধী এই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিজেপির প্রভাব বাড়ল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us