প্রায় প্রতিদিনই এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিস্ময়কর সব শিরোনাম দেখা যায়। এআই কঠিন পরীক্ষায় পাশ করেছে, ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায় জিতেছে কিংবা কাউকে ভালোবাসা জানিয়েছে ইত্যাদি। বিজ্ঞান ইতিহাসবিদরা বলছেন, এই যে এখন আমরা এআই’র অসম্ভবকে সম্ভব করার ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হচ্ছি, তা আসলে মানুষের ক্রমাগত আরো ভালো, আরো চৌকষ, দ্রুততর, আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠার চেষ্টারই অংশ। এই চেষ্টার শুরু প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই।
আমরা চশমা, শোনার যন্ত্র কিংবা কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ব্যবহার করতে শিখেছি নিজেদের শারীরিক ঘাটতি পূরণ করবার জন্য। কিন্তু এআই যখন পূর্ণ মাত্রায় ও শক্তিতে ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে, তখন মানুষের ক্ষমতার সীমানা ছাড়িয়ে যাবে অনায়াসে। ‘জেনারেটিভ এআই’ ইতোমধ্যেই মানুষের কাজ করবার ক্ষমতা, আরো দ্রুত শেখার, আরো কার্যকরভাবে যোগাযোগ করবার এমনকি আরও উদ্ভাবনী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরী করেছে। এইসব বিচারে, এআই’র যাত্রায়, মানুষের সাথে পরিপূরক ও সম্পূরক আন্তঃসম্পর্কের ক্ষেত্রে উজ্জ্বলতর দিন অপেক্ষা করছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।