বেশ কিছুদিন আগে একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক বলেছিলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেওয়া বন্ধ করলে চিকিৎসাব্যয় ৪০ শতাংশ কমে যাবে। এর অর্থ হলো, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো চিকিৎসকদের ঘুস বা কমিশন না দিলে মানুষের ১০০ টাকার চিকিৎসাব্যয় ৬০ টাকায় নেমে আসত। চিকিৎসকরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো থেকে কমিশন বা ঘুস নেন শুধু তাই নয়, তারা দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো থেকেও কমিশন নেন।
ঔষধ প্রশাসনের সাবেক এক পরিচালকের তথ্য মোতাবেক, বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের মোট বিক্রির ১০ শতাংশ অর্থ চিকিৎসকদের ঘুস বা কমিশন দেওয়া বাবদ ব্যয় করেন। ২০১৫ সালে দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো ১৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি করেছে। ১০ শতাংশ হিসাবে প্রদত্ত কমিশনের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো ৩১ হাজার কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি করেছে। ১০ শতাংশ হিসাবে প্রদত্ত কমিশনের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। ভাবা যায়, কী পরিমাণ অর্থ ওষুধ কোম্পানিগুলো চিকিৎসকদের পেছনে খরচ করছে!