যেকোনো সময়ের চেয়ে ভোক্তাদের হাতে এখন অনেক বেশি ক্ষমতা। প্রযুক্তির এ যুগে এসে কাস্টমার বা গ্রাহকের রিভিউ পুরোটাই হয়ে পড়েছে অনলাইনভিত্তিক। যেকোনো ব্যবহার বা সেবা গ্রহণের পর হুট করে অনলাইনে তার রিভিউ লিখে ফেলাটা এখনকার গ্রাহকদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অনেকেই আবার রিভিউ দেখেই সিদ্ধান্ত নেন, পণ্যটি কিনবেন কি না। তাই প্রতিষ্ঠানগুলো ‘ভালো রিভিউ’ পিন করে রাখতে বা বারবার পোস্ট করতে ভোলেন না। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম না থাকায় ভুল-বোঝাবুঝি আর অসচেতনতা থেকে আপনার একটি ‘বাজে রিভিউ’-ই প্রতিষ্ঠানটির ধস নামিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। হ্যাঁ, গ্রাহক হিসেবে কোনো পণ্য সম্বন্ধে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সমাজের আর পাঁচজনের কাছে তুলে ধরার অধিকার আপনার আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মেনে চলা দরকার কিছু আদবকেতা। কী সেগুলো, জেনে নেওয়া যাক।
যা কিছু ভালো তা সবার আগে বলুন
রিভিউ লেখার সময় ভারসাম্য বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। নেতিবাচকতা তুলে ধরার আগে ইতিবাচকতাকে আগে প্রচার করুন। এতে আপনার রিভিউর গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাবে অনেকটাই। আগে ভালো কথা লিখলে খারাপ কথা লেখার সময় তার ঝাঁজ বা তিক্ততাও কমে আসবে। এতে আপনার রিভিউর মর্যাদা বাড়বে, সেবা প্রদানকারীর কাছেও আপনার মতামত অগ্রাধিকার পাবে। ক্ষমতার অপব্যবহার করার আগে মনে রাখবেন, আপনিও এর শিকার হতে পারেন।