কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি দুর্বল ও সবল ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় একই সময়ে গ্রুপভুক্ত ঋণখেলাপিদের আরও ছাড় দিতে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। দুটি উদ্যোগই প্রকারান্তরে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাকে আরও একধাপ খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।
ব্যাংক একীভূতকরণের আলোচনায় যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন প্রজ্ঞাপনের দিকে আলোকপাত করা যাক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঋণখেলাপি ব্যবসায়ী গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলেও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে নতুন করে ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবে। তবে প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছাকৃত খেলাপি, নাকি যৌক্তিক কারণে খেলাপি হয়েছে, ব্যাংক তা দেখবে। আর এসব বিবেচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে। এর মধ্য দিয়ে ঋণখেলাপিরা কার্যত আবারও ছাড় পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে। আগে এক প্রতিষ্ঠান খেলাপি হলে গ্রুপভুক্ত অন্য প্রতিষ্ঠানের ঋণ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। এ প্রজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য এবং এর পেছনে যে ঋণখেলাপি শক্তিশালী গোষ্ঠী কাজ করেছে সেটি বুঝতে হলে একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে। গত বছর জুলাইয়ে যখন সংসদে ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিবর্তনের প্রস্তাব পাশ হয়, তখন তাতে অতিরিক্ত সংশোধনীর প্রস্তাব করেছিলেন সরকারি দলের একজন সংসদ-সদস্য।