একবার নয়, আমি হিট স্ট্রোকের কবলে দুই দুইবার পড়েছিলাম। কোনো বড় ক্ষতি ছাড়াই টিকে গেছি। তবে হিট স্ট্রোকে গতকালকেই অনেকগুলো মৃত্যু দেখে বুঝলাম, কত বড় বাঁচা বেঁচে গেছি আমি। অবশ্য মারা না গেলেও দুইবারই আমি বিপদে পড়তাম যদি পাশে কেউ না থাকতো। প্রথম হিট স্ট্রোক করি পানিতে দাঁড়ানো অবস্থায়। পানিতে পড়ে যাবার মুহূর্তে আমাকে ধরে ফেলেন খালাতো বড় ভাই। হাঁটু পরিমাণ পানি ছিল। একা থাকলে পানিতে ডুবেই অনায়াসে মারা যেতে পারতাম।
দ্বিতীয় স্ট্রোক হয় হাসপাতালের সিঁড়িতে। এবারও পড়ে যাবার ঢলে পড়ার সময়ে ঢাল হয়ে দাঁড়ান আমার মেজ ভাই। সিঁড়িতে পড়ে গেলে কিছু না কিছু ইনজুরি তো হতোই। এই দুই ঘটনা থেকে দুইটা জিনিস আমার জানানোর দরকার মনে হলো। প্রথমত, হিট স্ট্রোকের অভিজ্ঞতার অংশটুকু বলি। দুইবারের কোনোবারই কিন্তু আমি খুব একটা বুঝিনি যে কী বিপদ সামনে আসতেছে। প্রচুর গরম লাগা দিয়ে শুরু। গরম লাগলে আমাদের শরীর পুড়ে, কিন্তু জ্বরের মতো শরীর গরম হয় না। শরীরের একটা ন্যাচারাল কুলিং সিস্টেম আছে। ঘামের মাধ্যমে শরীর অতিরিক্ত তাপ বের করে দেয়। হিট স্ট্রোকের আগে এই মেকানিজম ফেইল করে। সুতরাং শরীর গরম হবে।