পৃথিবী নামক এই গ্রহে জনবহুল ক্ষুদ্র আয়তনের ব-দ্বীপখ্যাত নদীমাতৃক আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। এর একদিকে রয়েছে সুজলা-সুফলা উর্বর ভূমির সমারোহ; অন্যদিকে বহু নদী বা সমুদ্রের বিশাল জলতরঙ্গের কলতান। স্রষ্টার অপার কৃপায় অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর হয়েও এদেশ বরাবরই ছিল অনগ্রসর জনপদ। কথিত প্রাগ্রসর ঔপনিবেশিক শক্তির শাসন-শোষণ-কূটচাল-নিপীড়ন-নির্যাতনের ফলে এখানে শুধু অনুন্নয়নের ‘উন্নয়ন’ হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জনের পর অব্যাহত উন্নয়ন-উদ্যোগ বর্তমান পর্যায়ে দেশকে পৌঁছে দিয়েছে। স্বাধীনতার অব্যবহতি পর বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কঠিন সংগ্রামে ব্রতী করেছিলেন।
সংবিধানের ১৪৩(১)(খ) অনুচ্ছেদেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় জলসীমার অন্তর্ভুক্ত মহাসাগর ও মহিসোপানের খনিজসম্পদের ওপর মালিকানা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। দেশের সমুদ্র ও সমুদ্রসীমা রক্ষার্থে ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করেন ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোন্স অ্যাক্ট’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে আইনি প্রক্রিয়ায় সমুদ্র বিজয়ের গৌরব অর্জন করেছে দেশ। মূল ভূখণ্ডের প্রায় ৮২ শতাংশের সমান ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশের সার্বভৌমত্ব। উন্নত-উন্নয়নশীল বিশ্বে এ ধরনের সামুদ্রিক এলাকার সার্বিক উন্নয়ন অর্থনীতির চাকাকে সচল করে চলছে।