অতিরিক্ত গরমে যেসব শারীরিক সমস্যা হতে পারে, এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে তরল পদার্থ বেরিয়ে যায়, পরিণামে হয় পানিশূন্যতা। তবে শরীর থেকে পানি কিন্তু একা বেরোয় না, সঙ্গে শরীরের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান লবণ বা ইলেক্ট্রোলাইট, যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়ামও বেরিয়ে যায়। এতে করে শরীরে লবণের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। শরীর ভালো রাখতে এই ভারাসাম্য ঠিক থাকা খুবই জরুরি।
প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, তৃষ্ণার্ত বোধ করা, ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়া প্রভৃতি পানিশূন্যতার লক্ষণ। পানির ঘাটতি পূরণ না হলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। আর লবণের ঘাটতি হলে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে পরিস্থিতি। অবসন্নতা, ক্লান্তি, মাংসপেশির অসারতা, মাথাব্যথা, এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে। কিডনি এবং হৃদ্যন্ত্রেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।