আলোচনা এখন গরম নিয়ে। আরবের মরুর দেশের চেয়ে দেশের তাপমাত্রা কত বেশি, চলছে সেই তুলনা। জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলছে অগ্নিবায়ু। গরম নিয়ে সতর্কতা জারি করছে আবহাওয়া অফিস, কখন বৃষ্টি হবে, অপেক্ষায় মানুষ।
দরকার না পড়লে বাসা থেকে মানুষ বের হচ্ছে কম, কর্মদিবসেও সড়ক অনেকটা ফাঁকা, যাত্রীর জন্য ডেকে হয়রান বাস শ্রমিকরা।
গ্রীষ্ম ঋতু এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে গরমের বার্তাই নিয়ে আসে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি কি বেশি অসহনীয় হয়ে উঠছে? হলে সেটি কেন- এসব প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছে মানুষ।
ঢাকার মিরপুরের পূরবী এলাকায় রিকশা চালিয়ে আয় করা সুজন মিয়া কাঠফাটা গরম সহ্য করতে পারছেন না।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "জানটা বাইরায়া যাইতাছে। কী করুম? রিকশা না চালাইলে তো পেট চলব না। গরিব মাইনষের কি আর গরম-শীত আছে?"
বেসরকারি চাকরিজীবী মাহফুজ আহমেদ বলেন, "অফিসের জন্য রাস্তায় বের হলে মনে হয় গায়ে আগুন ধরে যাচ্ছে। গরমটা একদম সহ্য করতে পারছি না।
"গরমের কারণে অফিস থেকে দুইদিন ছুটি নিয়েছি। আর তো নেওয়ার সুযোগ নেই। মনে হচ্ছে, অনলাইনে অফিস হলে বেঁচে যেতাম।"