বছরের পর বছর ধরে জনপরিসরে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে আছে যে, ড. কামাল হোসেনই বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেছেন। যে কারণে তার নামের সঙ্গে ‘সংবিধান প্রণেতা’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তিনি ছিলেন সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য গঠিত ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সভাপতি।
অস্বীকার করার সুযোগ নেই, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় তৎকালীন আইন ও সংসদীয় বিষয়াবলী এবং সংবিধান প্রণয়ন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে ড. কামাল হোসেনই সংবিধান প্রণয়নের পুরো প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করেছেন। কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের ভাষ্য: “সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারটি পুরোপুরি ড. কামাল হোসেন নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি সংবিধানের বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করতেন। পরে সেটির ওপর কমিটির সদস্যরা আলোচনা করতেন, মতামত দিতেন। বঙ্গবন্ধুও মতামত দিয়েছেন। তারপর তা সংবিধানের ধারায় সন্নিবেশিত হয়েছে। (প্রফেসর মোহাম্মদ খালেদ, সাখাওয়াত হোসেন মজনু-মর্জিনা আখতার, পৃ. ৭৫)।