সদ্য হাঁটতে শেখা শিশুরা সারা ঘরে গুটি গুটি পায়ে হেঁটে বেড়াবে, খিল খিল করে হাসবে, খেলবে—এমনটাই আশা করেন বাবা–মায়েরা। তবে এ বয়সের শিশু কারও গায়ে হাত তুললে বা আঘাত করলে অভিভাবকের কাছে তা হতাশাজনক, লজ্জাজনক এবং অস্বস্তিকর হতে পারে। সন্তানের এ ধরনের আচরণ অনেক বাবা–মায়ের মধ্যে হতাশা ও লজ্জার অনুভূতি তৈরি করে। তাঁরা ভেবে নেন সন্তানের এ ধরনের আগ্রাসী আচরণ বাবা–মা হিসেবে তাঁদের ব্যর্থতার নিদর্শন।
তবে সব শিশুই কোনো না কোনো সময়ে আঘাত করা শেখে। বাবা–মা এ ধরনের আচরণে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখান তার ওপর নির্ভর করে সন্তানের এ আচরণ অভ্যাসে রূপ নেবে কিনা।
বেশ কয়েকটি কারণেই শিশুরা বাবা–মাকে আঘাত করে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো—
*তারা অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বা সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য উপায়ে প্রকাশ করতে পারে না।
*অনুভূতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মতো ভাষা দক্ষতা বা আবেগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তাদের নেই।
*বেশির ভাগ সময়ই পরিণতির কথা না ভেবেই তারা চাহিদা পূরণ করতে চায়।
* তারা যা চায় তা পাওয়ার জন্য আঘাত করে। বাবা–মায়েরা কোনো কিছুর জন্য ‘না’ বললে যেসব শিশু হাত তোলে বা আঘাত করে, ওই সব শিশুরা ভাবে আগ্রাসনের মাধ্যমে হয়তো তারা তা আদায় করতে পারবে।