চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুবদিয়া এলাকার একটি চাতালে ভুট্টা শুকানোর কাজ করছিলেন তিনজন। গতকাল শুক্রবার দুপুরের তীব্র রোদের মধ্যেই তাঁরা মাথায় গামছা বেঁধে এ কাজ করছিলেন। ভুট্টার মালিক রাজু মিয়া বলেন, ‘কদ্দিন ধইরে য্যারাম করে গরম বাড়চে, তাতে মুনিষ পাওয়াই যাচ্চে না। ভুট্টোগুনু ঘরে তুলার জন্নি অনেক অনুরোদ কইরে দুইজনকে ডাইকে আনিচি।’
প্রচণ্ড গরম সারা দেশে। এর মধ্যেই শ্রমজীবী মানুষকে কাজ করতে হচ্ছে মাঠে–ঘাটে। তাঁদের কষ্ট অপেক্ষাকৃত বেশি। তবে গরমে অতিষ্ঠ সবাই।
যে চুয়াডাঙ্গার কথা দিয়ে প্রতিবেদন শুরু হলো, গতকাল সেখানেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়—৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি এ বছরের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গা পড়েছে খুলনা বিভাগের মধ্যে। গতকাল এ বিভাগে বয়ে গেছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
কোনো এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য করা হয়। খুলনা বিভাগের পাশাপাশি রাজশাহী, টাঙ্গাইল ও পাবনা জেলায় বয়ে গেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের আরও নানা স্থানে ছিল মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। রাজধানী ঢাকায় বয়ে গেছে মাঝারি তাপপ্রবাহ।
এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল পরবর্তী তিন দিনের জন্য দেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। এ সতর্কতা জারি করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, আগামী তিন দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম; বরং এটি বাড়তে পারে। আসলে এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ থাকবে। তবে সময়ভেদে এর মাত্রা কমবেশি হতে পারে। পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে।